মেডিকেল ও বুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হলো ‘শিহাব আহমেদ শিক্ষাবৃত্তি – ২০২৫’
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো ‘শিহাব আহমেদ শিক্ষাবৃত্তি – ২০২৫’। এই বৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করছে শিহাব আহমেদ ফাউন্ডেশন, যা হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার পথে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাবৃত্তির সুযোগ।
শিক্ষাবৃত্তির আওতা ও কাঠামো
শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রমের কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ভিত্তিতে। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী দেওয়া হবে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা, যা সরাসরি তাদের ব্যাংক একাউন্টে পাঠানো হবে।
কী ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে?
- মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ বছর মেয়াদি পূর্ণাঙ্গ বৃত্তি
- বুয়েটে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ৪ বছর মেয়াদি পূর্ণাঙ্গ বৃত্তি
- মাসিক ভিত্তিতে একাউন্টে অর্থ প্রেরণ শুরু হবে চলতি মাস থেকেই
একটি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য
শুধু ২০২৫ সাল নয়—এই কার্যক্রমকে ১০ বছরের জন্য সম্প্রসারণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী এক দশকে প্রায় ৩ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করবে ফাউন্ডেশন, যার অর্থ শতভাগ বৈদেশিক রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে আনা হবে। শিক্ষাবৃত্তির এই ধারা ২০২৪ সাল থেকে কার্যকর রয়েছে, এবং প্রতিবছর নিয়মিতভাবে দুই উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা থেকে ৪৫ জন শিক্ষার্থী এই বৃত্তির আওতায় আসছেন।
ফলাফল প্রকাশ ও পরবর্তী পদক্ষেপ
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা
ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকাটি দেখতে ক্লিক করুন :
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা দেখুন
ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি
কার্যক্রম শেষ হলে অন্যান্য উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের
শিক্ষার্থীদের জন্যও নতুন শিক্ষাবৃত্তি ঘোষণা করা হবে।
একটি শিক্ষাবান্ধব সমাজের প্রত্যয়
শিহাব আহমেদ ফাউন্ডেশন-এর এই কার্যক্রম শুধু আর্থিক সহায়তা
নয়—এটি একটি বড় উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের অংশ। শিক্ষায় সমতা
আনা, প্রান্তিক অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় পৌঁছে
দেওয়া এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।
একটি শিক্ষিত, সচেতন এবং মানবিক প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে
হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম যেমন এগিয়ে যাবে, তেমনি ভবিষ্যতে এর
প্রভাব পড়বে জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায়ও।
এই শিক্ষাবৃত্তির মূল দর্শন –
“অর্থের বাধা পেরিয়ে মেধাবীদের এগিয়ে নিতে ও ভবিষ্যতে
আরেকজনের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার।